হোটেল মেট্রো ইন্টারন্যাশনাল এর সম্মেলন কক্ষে ব্রির উদ্যোগে এবং ডিএই এর সহযোগীতায় ৩০ অক্টোবর ২০২০ তারিখ সিলেট অঞ্চলে বোরো ধানের ফলন বৃদ্ধিতে করণীয় শীর্ষক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. মো: শাহজাহান কবীর এর সভাপতিত্বে কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের কৃষি সচিব জনাব মো: মেসবাহুল ইসলাম এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তরের নবনিযুক্ত মহাপরিচালক কৃষিবিদ মো: আসাদুল্লাহ। অনুষ্ঠানের শুরুতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ড. কৃষ্ণপদ হালদার, পরিচালক (প্রশাসন ও সা.পরি) ব্রি। কর্মশালায় সিলেট অঞ্চলের হাওড় এলাকায় বোরো ধানের জাত নির্বাচন, বীজ বপন, চারা রোপন, আন্ত: পরিচর্যাসহ বিভিন্ন কার্যাবলীর সুবিধা ও অসুবিধা ইত্যাদি বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়। এছাড়াও সিলেট অঞ্চলের প্রধান যে সমস্যা সেটি হলো Absenty farmers। এ অঞ্চলের বেশীরভাগ জমির মালিকই প্রবাসী যার কারনে তাদের জমিগুলো ঠিকমতো চাষের আওতায় আনা সম্ভব হয় না। যার ফলশ্রুতিতে এ অঞ্চলে আবাদী জমি থাকা সত্তে¡ও উৎপাদন সন্তোষজনক হয় না। আবার সময়ের স্বল্পতা ও পরিবেশ বা আবহাওয়ার কারনেও অনেক জমি আবাদের আওতায় আনা যায় না ফলে নির্দিষ্ট সময়ে ফসল ঘরে তোলা দুরুহ হয়ে পড়ে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মাননীয় কৃষি সচিব বলেন বঙ্গবন্ধু প্রথম ১টি ভিত্তি রচনা করে গিয়ে ছিলেন কৃষি উন্নয়নের জন্য তিনি বলেছিলেন খাদ্যে অবশ্যই আমাদের স্বয়ংসম্পূর্ণ হতে হবে পরনির্ভরশীলতা থাকা যাবে না। তিনি সবুজ বিপ্লবের সুচনা করেছিলেন সেই সাথে বিএডিসি, ডিএই, বারি, ব্রি এসমস্ত প্রতিষ্ঠানগুলোকে শক্তিশালী করেছিলেন এবং পুনরুত্থান করেছিলেন। যার মধ্য দিয়ে কৃষির সুফলটা আমরা পেয়েছি। এছাড়াও তিনি আরও বলেন যে মাননীয় প্রধান মন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী দেশে যেন ১ ইঞ্চিও জমি পড়ে না থাকে প্রতিটি ইঞ্চি জমিকে ব্যবহার করতে হবে এবং দেশকে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা করতে ধানছাড়াও অন্যান্য সকল দানাদার খাদ্যসহ আরও যে ফসলগুলো আছে সবক্ষেত্রে আমাদের উল্লেখযোগ্য উন্নয়ন সাধন করতে হবে। আমাদের কৃষি বান্ধব সরকার সবসময় কৃষি এবং কৃষকদের নিয়ে অনেক বেশী চিন্তা করেন তাই কৃষির উন্নয়নে যা যা করণীয় সেদিকে বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছেন এবং আমরাও তার দেখানো পথ অনুসরন করেই খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা এনেছি।
তিনি আরও বলেন আমাদের নতুন করে চিন্তা করতে হবে অবশ্যই Veriety গুলোকে শিফট করতে হবে তা না হলে আমরা ফলন বৃদ্ধি করতে পারবনা। একটা সময় আসবে চাইলেই আবাদী জমির পরিমান বাড়ানো সম্ভব হবে না তখন শস্য বিন্যাস পরিবর্তন করে HYV এবং হাইব্রিড Veriety এর সাথে প্রযুক্তির সংমিশ্রন ঘটাতে হতে অন্যথায় উৎপাদন বৃদ্ধি অব্যহত রাখা সম্ভব নয়।
অনুষ্ঠানের শেষে সভাপতি মহোদয় সিলেট অঞ্চলের বোরো ধানের ফলন বৃদ্ধিতে সমকালীন চাষাবাদ, সেচ ব্যবস্থার উন্নীতকরণ, সুনির্দিষ্ট কৃষকের জমি চিহ্নিত করন, বিস্তির্ণ হাওড়ে নিয়মিত পরিদর্শন ও বিভিন্ন আধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে সর্বাধিক জমি চাষাবাদের আওতায় আনার বিষয়টিও সভাপতির আলোচনায় উঠে আসে।
উক্ত অনুষ্ঠানে সিলেট অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) ও চার জেলার উপপরিচালক মহোদয়গন উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও সিলেট অঞ্চলের কৃষি মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন সকল প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাগণ, উপজেলা কৃষি অফিসারগণ, সাংবাদিক ও এআইএস, সিলেট অঞ্চলের প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন।